ভারতের গোয়ায় শুরু হয়েছে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলন। এ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখানে গেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। ২০১১ সালের পর এই প্রথম ভারত সফরে গেলেন পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সর্বশেষ ১২ বছর আগে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণার সঙ্গে দেখা করেছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার। তবে সার্বিক হালচাল তখন ছিল ভিন্ন। দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে বর্তমানের মতো এতটা বিরোধ ছিল না। অপর দিকে দীর্ঘদিনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল পাকিস্তানের।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্য উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশীয় বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, কূটনীতির দিক দিয়ে দেখলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা পায় ভারত ও পাকিস্তান। তখন থেকে কাশ্মীর নিয়ে তিনটি যুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশ। ২০১৯ সালে কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের ভূখণ্ডে হামলা চালায় দিল্লি। এর জেরে দুই দেশ পারমাণবিক যুদ্ধের ‘কাছাকাছি’ চলে গিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
তবে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ২০২১ সালে শুরু হওয়া নতুন একটি চুক্তি সীমান্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। এরই মধ্যে গত বছর পাকিস্তান লক্ষ করে ‘দুর্ঘটনাবশত’ একটি সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ভারত। ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিল ইসলামাবাদ। তবে তা গভীর কোনো সংকটের দিকে মোড় নেয়নি।
ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনায় পাকিস্তানের কড়া প্রতিক্রিয়া না জানানোর মানে, দুই দেশের সম্পর্ক নিরাপদে আছে এমনটা মানতে নারাজ মাইকেল কুগেলম্যান। তিনি বলেন, সেরা সময়টাতেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক থাকে অনেকটা ফসকা গেরোর মতো। আজ একটু উসকানি দুই পক্ষকে উত্তেজনার চরমে নিয়ে যেতে পারে।